টিউলিপের বিরুদ্ধে ৪০০ কোটি পাউন্ড ঘুষ নেয়ার অভিযোগ
বাংলার জমিন ডেস্ক :
আপলোড সময় :
১৯-১২-২০২৪ ০৩:৩৪:২৯ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১৯-১২-২০২৪ ০৩:৩৪:২৯ অপরাহ্ন
ফাইল ছবি
যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ৪০০ কোটি পাউন্ড পর্যন্ত ঘুষ নেয়ার অভিযোগের তদন্ত করা হচ্ছে। ব্রিটেনের আর্থিক খাতে দুর্নীতিরোধের দায়িত্ব রয়েছে সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকের কাঁধে। টিউলিপের জন্মভূমি বাংলাদেশে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তির সঙ্গে জড়িত কথিত অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) টিউলিপ সিদ্দিক, তার যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী মা শেখ রেহানা সিদ্দিক এবং তার খালা বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। কয়েক সপ্তাহের সহিংস বিক্ষোভের পর বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী শত শত বেসামরিক লোককে হত্যা করে। অবস্থা বেগতিক দেখে হাসিনা তার বোন রেহানাকে নিয়ে আগস্টে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যান। বাংলাদেশের হাইকোর্টের আদেশের পরে তদন্ত শুরু করা হয়। যেখানে দাবি করা হয় টিউলিপ সিদ্দিক মোট ১০ বিলিয়ন ডলারের পারমাণবিক চুক্তির 'দালালি' করতে সহায়তা করেছিলেন। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে রোসাটম নামে একটি রাশিয়ান রাষ্ট্র সমর্থিত কোম্পানি কাজ করছে। ২০১৩ সালে হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন টিউলিপ সিদ্দিকের উপস্থিতিতে ক্রেমলিনের অভ্যন্তরে চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন। টিউলিপ তখন একজন লেবার কাউন্সিলর ছিলেন।
দুদক সিদ্দিকের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধেও তদন্ত করছে। যার মধ্যে তার খালাতো ভাই সজীব ওয়াজেদ জয়, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন এবং তার চাচা তারিক সিদ্দিক, যিনি বাংলাদেশে লুকিয়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আদালতের কাগজপত্রে তাদের নাম ছিল। দুদকের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, কমিশন জড়িতদের অবস্থান নির্বিশেষে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে সিদ্দিক এ বিষয়ে অস্বীকার করেছেন।
মমমমম
তবে টিউলিপের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলেছে, আমেরিকান ওয়েবসাইটে প্রথম প্রকাশিত হওয়া অভিযোগ 'ভুয়া'। আওয়ামী লীগের যুক্তরাজ্যের সাধারণ সম্পাদক এবং সিদ্দিকের পারিবারিক বন্ধু সৈয়দ ফারুক বলেন, 'এই গল্পগুলো বানোয়াট। এগুলো হাসিনা পরিবারের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আক্রমণ। তারা টিউলিপকে আক্রমণ করছে, কারণ সে আমাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি। জুলাই মাসে সিটি মন্ত্রী হওয়ার পর থেকে সিদ্দিককে ঘিরে ঘুষের তদন্ত হল বিতর্কিত একটি বিষয়। তিনি প্রায় ১৪ মাস ধরে লন্ডনের একটি সম্পত্তির ভাড়ার আয় ঘোষণা করেননি বলে সংসদীয় মানদণ্ড মেনে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছিল।'
সংসদীয় নিয়ম অনুসারে সদস্যদের ২৮ দিনের মধ্যে এই জাতীয় আয় ঘোষণা করতে হবে। টিউলিপ যার অফিসিয়াল উপাধি ট্রেজারির অর্থনৈতিক সচিব। তিনি ক্ষমা চেয়েছিলেন এবং ভুলটি 'অসাবধানতাবশত' হয়েছিল বলে স্বীকার করেছিলেন। আগস্টে একই সংবাদপত্র প্রকাশ করেছিল কীভাবে সিদ্দিক দুই বছর আগে ২ মিলিয়ন পাউন্ডের পাঁচ বেডরুমের বাড়িতে চলে যান, যেটি তিনি তার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক মিত্রের কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছিলেন। একজন বাংলাদেশি বিরোধী রাজনীতিক ববি হাজ্জাজ সেপ্টেম্বরে হাইকোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করার পরে সিদ্দিক এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়।
দদদদদ
আদালতের কাগজপত্রে উদ্ধৃত বাংলাদেশি মিডিয়ার বিভিন্ন নিবন্ধের ওপর ভিত্তি করে এটি তৈরি করা হয়েছিল। টিউলিপ সিদ্দিক এবং তার পরিবার পারমাণবিক চুক্তির সময় ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকা থেকে ১২৮ মাইল উত্তর-পশ্চিমে ঈশ্বরদী উপজেলায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তিটি ২০১৩ সালে ক্রেমলিনে একটি জমকালো অনুষ্ঠানে হাসিনা ও পুতিনের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল যেখানে সিদ্দিক, তার মা রেহানা (৬৯) ও ছোট বোন আজমিনা (৩৪) উপস্থিত ছিলেন। সিদ্দিক ও তার পরিবার এমনকি পরে রাশিয়ান রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে ছবিও তোলেন।
গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প নামে মার্কিন ভিত্তিক নিউজ ওয়েবসাইটের রূপপুর বিষয়ক নিবন্ধের প্রকাশের পর, বাংলাদেশি মিডিয়াও সেটি গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করে। যেখানে টিউলিপ সিদ্দিক এবং তার পরিবারের সদস্যদের দ্বারা ৪ বিলিয়ন পাউন্ড কীভাবে চুরি করা হয়েছিল তা বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Jamin
কমেন্ট বক্স